বাংলাদেশ কষি গবেষনা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভবিত দেশের প্রথম সংকর (ঐুনৎরফ) জাতের আম বারি-৪। দেশি নাবি জাত আশ্বিনার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রোরিডা থেকে সংগৃহীত রঙ্গিন আমের লাইন এম-৩৮৯৬ এর সংকরায়ণের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে বারি-৪ উদ্ভবন করা হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০০৩ সালে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে চাষা বাদের জন্য মুক্তায়ন করা হয়। নাবি জাতের আম। ফাল্গুন মাসে মুকুল আসে, ফল পাকে শ্রাবন মাসে। ফলটির দেখতে গোলাকার। গড় ওজন ৫০০ গ্রাম। কাঁচা অবস্থায় হালকা সবুজ পাকলে হলুদ। দেখতে আকর্ষণীয়। ত্বক মসৃন, খোসা পাতলা, শাঁস রসাল, মোলায়ন, আঁশবিহীন। শাঁসের রং হলুদ। মিষ্টি স্বদের এই ফলটিতে কোনো আঁশ নেই। আঁটি ছোট ও পাতলা। আমটি উচ্চ ফলনশীল, প্রতি বছর ফল ধরবে। গাছের আকৃতি ছোট। ৮-৯ বছর বয়সের প্রতিটি গাছে গড়ে ৬০-৭০টি আম পাওয়া যায়। প্রতিটি থোকায় ৪-৮ টি আম ধরে।
কাঁচা অবস্থায় টক না থাকায় কাঁচামিঠা আমের মত করে খাওয়া যাবে। এখন অবধি দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে চাষ শুরু হয়েছে। ফলটির উচ্চ গুনাগুনের আকৃষ্ট হয়ে আম চাষীরা ব্যাপক ভাবে বাগানে রোপন করা শুরু করেছেন। তবে চহিদা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ এই আমের চারা কলম সরবরাহকরতে পারেন না । বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানীদের দ্বারা এই প্রথম সফলভাবে একটি নতুন আমের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি সৃষ্টি।
0 Reviews:
Post Your Review